
অডিট রিপোর্টে সিল ও স্বাক্ষর না থাকায় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১২ দলের হিসাব প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
অডিট রিপোর্ট ঠিক করে পুনরায় ৩১ আগস্টের মধ্যে দলগুলোকে জমা দিতে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে পাঁচটি দলকে ৩১ আগস্টের মধ্যে দলের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। ইসি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসি সূত্র জানায়, ৩১ জুলাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪০ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩৫টি দল অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছিল।
তবে এদের মধ্যে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি-জাপাসহ ১২টি দল যথাযথ নিয়মে প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
এ দলগুলো হচ্ছে- জাতীয় পার্টি-জাপা, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
জাতীয় পার্টি-জাপার অডিট রিপোর্টে দলের উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর আছে কিন্তু সিল নেই।
ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের অডিট রিপোর্টের কিছু কিছু পাতায় দলের উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিল নেই।
বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমলের উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিল নেই।
বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমলের উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিল নেই।
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপির নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের সিল আছে তবে স্বাক্ষর নেই।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের সিল আছে কিন্তু স্বাক্ষর নেই।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের সিল আছে কিন্তু স্বাক্ষর নেই।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিল নেই। এছাড়া নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের সিল আছে কিন্তু স্বাক্ষর নেই।
গণতন্ত্রী পার্টির উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিল নেই।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের সিল আছে কিন্তু স্বাক্ষর নেই।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অডিট রিপোর্টের কিছু কিছু পাতায় নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের সিল আছে কিন্তু স্বাক্ষর নেই।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রথম ও শেষের দুই পাতায় নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর আছে। তবে অবশিষ্ট পাতাগুলোতে সিল আছে স্বাক্ষর নেই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অডিট রিপোর্টে সারসংক্ষেপ সংযুক্ত করেনি।
দলগুলোকে অডিট রিপোর্টের প্রতি পাতায় নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ ও দলের উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে পুনরায় ৩১ আগস্টের মধ্যে ইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
একমাস সময় পেয়েছে পাঁচটি দল
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে পাঁচটি দল সময় দেয়া হয়েছে- বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে পাঁচটি দল সময় দেয়া হয়েছে- বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দলগুলোকে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিতে হয়।
কোনো দল পরপর তিন বছর বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দিতে ব্যর্থ হলে কমিশন চাইলে তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।